পুরুষ নির্যাতন
আমরা এতোদিন জেনে এসেছি যে, প্রতিটি সংসারে নারীরােই শুধু নির্যাতিত হয়। কিন্তু এই সমাজে পুরুষেরাও নির্যাতিত হয় এবং এটি খুব বেশি মাত্রায় হয় তার খবর কেউ রাখে না। যখন কোন পুরুষ বেশি মাত্রায় নির্যাতিত হয়, তখন তার রাগ সামলাতে না পেরে অনেক সময় নারীর গায়ে হাত তোলে। তখন সবাই বলে নারী নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু সেই নারী কেন নির্যাতিত হলো তার খবর কেউ রাখে না। পুরুষ চায় সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় এসে নারীর হাসিমাখা মুখ এবং সেবাযত্ন। যেমনঃ স্ত্রী স্বামীর তোয়ালেটা এগিয়ে দিল, স্বামী ফ্রেস হওয়ার পরে এক কাপ চা/কফি এনে দিল, সারাদিন কি কি করেছে তা গল্পের ছলে স্বামীকে জানালো। এটি আমাদের সমাজে খুবই বিরল ঘটনা। বেশির ভাগই স্বামী সারাদিন অফিস থেকে কষ্ট করে যখন বাসায় ফিরে তখন স্ত্রীর নানা রকম অভিযোগ আর অভিযোগ। স্বামীকে ফ্রেস হওয়ারও সময় দেয় না। আমি সংসারে এতো কষ্ট করি আমার কি চাকরানী পেয়েছো, একটা চাকরানী রাখলেও তাকে বেতন দিতে হতো, আর আমি ফ্রি ফ্রি কামলা খাটি। বাচ্চাদের জন্য একফোটা অবসর নেওয়ার সময় পাইনা। সারাদিন তাদের পিছনে ছুটতে হয়। এতো এতো অভিযোগ স্বামীকে সুনতে হয়। এদিকে পুরুষ মানুষ যখন কষ্ট করে অফিসে বসের ঝাড়ি খেয়ে মেজাজ চরম গরম এই অবস্থায় বাসায় এসে স্ত্রীর এরকম অভিযোগ তার কাছে আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো অবস্থা। আমরা শুধু নারী নির্যাতন নিয়েই চিল্লাচিল্লি করি। পুরুষরাও নির্যাতিত হয় এবং তা অতি বেশি মাত্রায় এ খবর কেউ রাখে না। আর পুরুষ মানুষ লোক লজ্জ্বার ভয়ে একথা বাইরে কাউকে বলতেও পারে না। কষ্ট করে হজম করে নেয়। এমন করে হজম করতে করতে এতো টেনশন করে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় একদিন হাট এটাকে অথবা ষ্ট্রোক করে মারা গেছে। কেউ জানলো না এই পুরুষটির কি দুঃখ ছিল বা কতটা কষ্ট পেয়ে মারা গেছে।
বিদ্রঃ এই সবই আমার মনের একান্ত ভাবনা থেকে লেখা। কারো সাথে মিলে গেলে কষ্ট নিয়েন না। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন।
No comments:
Post a Comment